Arif Almas
ওয়েব ডেভেলপারদের মাঝে Burnout
কেন হয় ?
By Arif Almas / May 2, 2025
Burnout
ওয়েব ডেভেলপারদের মাঝে একটি কমন সমস্যা। এই ব্লগে জানুন কেন Burnout
হয়, কীভাবে এর লক্ষণ চেনা যায়, এবং সহজ কিছু কৌশলে কীভাবে এড়ানো যায়। নতুনদের জন্য বাস্তব, ফ্রেন্ডলি ও মোটিভেশনাল পরামর্শ।
Burnout problem for Web Developers - 2025
চলো গল্প দিয়েই শুরু করি।
ধরা যাক তুমি এখন নতুন ডেভেলপার। প্রথম ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলেছো, ওয়াও! একটানা ১২ ঘণ্টা কোড করে বিশাল একটা ডিজাইন দাঁড় করিয়েছো। তখন মনে হচ্ছে তুমি একদম “Code Ninja”
হয়ে গেছো!
কিন্তু…
এক মাস পরে? মনে হচ্ছে কোড দেখলেই মাথাব্যথা। একেকটা বাগ ঠিক করতে গেলে মনে হয় জীবনটাই একটা বাগ!
দিনের পর দিন মন খারাপ, কাজের প্রতি অনীহা, বারবার মনে হয় “আমি কী পারবো?”
এটাই Burnout-
এর প্রথম সাইন!
এবং সত্যি বলতে, এটা শুধু তোমার না বিশ্বজুড়ে টেক ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা মানুষের ৫০-৬০% এর বেশি মানুষ Burnout ফেস করে।
একটা জরিপ বলছে:
Gallup Report 2023:
টেক ইন্ডাস্ট্রির ৬২% কর্মী বছরে অন্তত একবার Burnout অনুভব করেন।
Burnout আসলে কী?
চলো, চোখ বন্ধ করে একটু কল্পনা করো। তুমি সকাল ৭টায় উঠে বসলে। চোখ খুলতেই মাথায় ঘুরছে “কোড, কমিট, ডেডলাইন…” হাতমুখ ধুয়ে খেতে বসলে মায়ের কথা শুনছো না, মাথার মধ্যে শুধু API endpoint
-এর error!
কাজে বসলে কি হয়?
একটা টিকটিকি স্পিডে কোড লিখতে শুরু করলে। সকালের ফ্রেশ মন, মনে হচ্ছে আজ আমি পুরো গেমটা উল্টে দেবো!
কিন্তু… দুপুর হতে না হতেই শরীরের ব্যাটারি একেবারে লাল হয়ে গেলো।
মন বলছে “আর পারছি না ভাই, আরেক লাইন কোডও লিখতে বলিস না!”
তারপর… একটা বাগ ধরতে ধরতে রাত ১টা বেজে গেলো। চোখ টাটাচ্ছে, মস্তিষ্ক বলে কাঁদছি…
কিন্তু তুমি তখনও স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে “আরেকটু, আরেকটু…”
দিন যায়, রাত যায় এরকম চলতে চলতে হঠাৎ একদিন টের পাবে:
কাজে মন বসে না
আগে যেটা করে আনন্দ পেতে, এখন সেটা মনে হয় জেল খাটার শাস্তি
ছোট্ট একটা ইমেইল লিখতেও মনে হয় মাথায় পাথর ঝুলছে
কোনো কোডিং টাস্ক শুরু করতে ইচ্ছাই হয় না অথচ Deadline
হাহাকার করে!
ভাই, এটাকেই বলে Burnout।
আক্ষরিক অর্থে, Burnout
মানে হলো:
“তুমি কাজ করছো ঠিকই, কিন্তু সেটা আর আনন্দের জন্য না, সেটা শুধু বেঁচে থাকার জন্য।”
“তুমি নিজের মনের বিপক্ষে কাজ করছো, যেন নিজেকেই বন্দী করে রেখেছো।”
চাইলে আরো সহজ ভাষায় বলি
Burnout
হচ্ছে সেই অবস্থা, যেখানে তুমি নিজের মনের উপর জোর করে জগদ্দল পাথরের মতো কাজ চাপিয়ে চলছো অথচ ভেতরটা চিৎকার করছে: “থামো, আর পারছি না!”
ছোট্ট একটা লাইফ এক্সাম্পল:
ধরা যাক, তুমি খুব উৎসাহ নিয়ে কোড শিখতে শুরু করেছিলে।
প্রথম রেস্পন্সিভ Navbar
বানিয়েছিলে মনে হয়েছিলো NASA-
র জন্য রকেট ডিজাইন করে ফেলেছো!
কিন্তু কিছুদিন পর… প্রতিদিন কাজের চাপ, ননস্টপ Project Revision
, ### ক্লায়েন্টের Bug Fixing
শেষমেশ মনে হচ্ছে, “Navbar
বানাও কি, রকেট বানাও কি – কিছুতেই আর আনন্দ লাগে না!”
ভাই, এই জায়গাটাই Burnout
-এর ফাঁদ।
চাইলে তুমি তখনও কাজ করতে পারবে কিন্তু সেটা হবে ড্রাইভ ছাড়া, আনন্দ ছাড়া, রোবটের মতো!
Burnout
কেন হয়?
Burnout
কোনো হুট করে এসে পড়া ভূত না। এটা ধীরে ধীরে গজিয়ে ওঠে ছোট ছোট ভুল, চাপ, অবহেলার ফলেই।
চলো দেখি, কাদের মাঝে বেশি হয় আর কেন হয়:
১. অতিরিক্ত ওয়ার্কলোড ও ওভারটাইম
সত্যি কথা কী জানো?
আমরা Developer রা অনেক সময় নিজেদের Superman ভাবে “আরে ভাই, আমি একা পুরো সিস্টেম বানিয়ে ফেলতে পারবো!” তারপর কি হয়?
একটা Project হাতে নিলে মনে হয় ৩ দিনে শেষ করে ফেলবো!
বাস্তবে ডেডলাইন আসে, Bug
আসে, Client
-এর নতুন চাওয়া আসে
শুরু হয় রাত জেগে একটানা ১৪-১৬
ঘণ্টা কোড করা
রিয়েল লাইফ Example
দেখোঃ
তুমি ভেবেছিলে “এই ওয়েবসাইটটা ৩ দিনে বানিয়ে ফেলবো!” কিন্তু ৩ দিন পরও দেখলে Login Page
শেষ হয়নি।
ডেডলাইন মাথায় রেখে রাত ২টা
, ৩টা
পর্যন্ত খাটছো, দিনে ঘুম ৩-৪
ঘণ্টা। বন্ধুদের সাথে আড্ডা বাদ, খাওয়া দাওয়া অনিয়মিত সবকিছু ফেলে তুমি কোড করে চলছো। এভাবেই আস্তে আস্তে শরীর বলে
“ভাই, আমারে আর বেশি exploit
কইরো না!”
মনও বলে
“এক লাইন কোড লেখার শক্তি নাই।” আর ঠিক এইখানেই ঢুকে পড়ে Burnout!
২. টেকনোলজির অস্থির গতি
প্রতিদিন মনে হয় নতুন কোনো JavaScript Framework
জন্ম নিচ্ছে! আজ React
শিখলা কাল শুনলা Next.js
এসে গেলো। Next.js
ধরতে না ধরতেই কেউ বলে Astro
, Remix
তো এখন Future
!
বাস্তব অনুভুতি:
তুমি একের পর এক টিউটোরিয়াল খাচ্ছো। মাথা ব্যথা দিয়ে ওঠে
– “React
শিখলাম তো? এখন আবার Next.js?
ওটা শিখতেই হবে নাকি?”
– “Remix?
Astro?
এত্তোগুলো শেখার সময় কই?”
ফলে নিজের উপর একটা অদৃশ্য চাপ বাড়ে “সব শেখা লাগবে, না শিখলে পিছিয়ে পড়বো!”
এই continuous
chase-
এর ভেতরেই নিজের অজান্তেই তুমি ক্লান্ত হয়ে পড়ো।
Burnout
এর একটা বড় কারণ “নিজেকে non-stop upgrade করতে গিয়ে নিজেকেই হারিয়ে ফেলা।”
৩. সোশ্যাল মিডিয়া প্রেসার
ভাই, LinkedIn
, Twitter
এগুলো Blessing
কম, Curse
বেশি! বিশ্বাস করো, কারো Success Story
দেখলেই হুট করে মনে হয় “আমি তো কিছুই পারিনি! আমি তো Loser!
”
রিয়েল লাইফ Example
দেখোঃ
তুমি সকালে LinkedIn
খুললা দেখলা কেউ পোস্ট দিলো:
“মাত্র ৬
মাসে Full Stack Developer
হয়ে গেছি!”
“Google
এ Job Offer
পেলাম!”
তারপর তুমি নিজের দিকে তাকাও
১ বছর হলো কোড শিখছো, এখনো portfolio
ঠিকমতো বানাতে পারো নাই।
মন বলবে “তুই কিছুই পারিস না!”
এই Comparison
এর খেলাতেই নিজেকে তুচ্ছ মনে হতে থাকে।
Confidence
কমে যায়, নিজেকে useless
লাগে।
আর একটু একটু করে মন মরে যেতে থাকে
এইটা থেকেই Burnout
জন্ম নেয়!
ভাই, মনে রেখো
সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাই শুধু Highlight Reel
দেখায়, Real Life
নয়!
তুমি নিজের গতি অনুযায়ীই এগিয়ে যাচ্ছো। এবং সেটা Perfectly Okay!
৪. পার্সোনাল ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্সের অভাব
ভাই, Developer life
মানে এই না যে
“জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শুধু কোড, কোড আর কোড।”
কিন্তু, সত্যিটা হচ্ছে অনেক Developer
নিজের Personal Life
একেবারে বিসর্জন দিয়ে দেয়:
ঘুম বাদ
বন্ধুবান্ধব বাদ
পরিবার বাদ
প্রেম? ওটা কবে ছিলো মনে নাই!
রিয়েল লাইফ Example দেখোঃ
ধরা যাক, তুমি নতুন একটা কোর্সে ভর্তি হলে। খুব মন দিয়ে পড়ছো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত Tutorial
, Practice।
প্রথম ২-৩ দিন মনে হয়েছিলো “আমি World Champion
হতে যাচ্ছি!”
কিন্তু ১০ দিন পর? মন আর মাথা দুইটাই খাপছাড়া! বন্ধুদের সাথে আড্ডা, একটু মজা, বা নিজের জন্য সময় না রাখার ফলাফল Burnout!
রিয়েল লাইফ Example
দেখোঃ
মনে রেখো:
“মানুষ মেশিন না। মানুষকেও চার্জ দিতে হয় আনন্দ দিয়ে, বিশ্রাম দিয়ে, হাসি দিয়ে।”
Work Life Balance
ঠিক না রাখলে কাজের প্রতি ভালোবাসাও হারিয়ে যাবে।
Burnout
কেন হয়?
অতিরিক্ত কাজ, অতিরিক্ত চাপ, প্রতিযোগিতার দৌড়ে হাপিয়ে গিয়ে, নিজের যত্ন না নেওয়ার কারণে।
অন্যের progress
দেখে নিজের মূল্য কমিয়ে ফেলা।
আনন্দ ছাড়া শুধু Target ধরার পেছনে দৌড়ানো।
এভাবেই নীরবে, ধীরে ধীরে Burnout
তোমাকে গিলে ফেলে।
কিভাবে Burnout
এড়ানো যায়?
এইবার আসল গপ্পো!
Burnout
কেমন করে আসে, সেটা জানলে তো লাভ নাই যদি বাঁচার রাস্তা না জানো, তাই না?
চলো দেখি, Burnout
এর থাবা থেকে বাঁচার জন্য তোমাকে কী কী করতে হবে:
Burnout problem for Web Developers - 2025
১. রুটিন করে কাজ করো
Developer
লাইফে যদি রুটিন না থাকে, তাহলে মাথা এক সময় বলবে “ভাই, আর পারি না। System Crash!
”
সবচেয়ে কমন ভুল কি করি আমরা?
– একবার বসলাম তারপর উঠলাম ৮ ঘণ্টা পর!
– পিঠ ব্যথা, চোখ লাল, মাথা ব্যথা সব ইনস্টল হয়ে গেছে meanwhile!
Solution:
দিনে ৬
ঘণ্টা ফোকাসড কাজ করো, ১০-১২
ঘণ্টা একটানা না।
আর ইউজ করো Pomodoro Technique:
২৫
মিনিট কাজ + ৫
মিনিট বিশ্রাম।
ভাই, ৫
মিনিটের সেই ছোট্ট Break
অনেক বড় ম্যাজিক করে:
- মাথা ফ্রেশ হয়
- শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ে
- Energy Level Boost হয়
Bonus Tip:
- কাজের মাঝে উঠে একটু হাঁটো
- পানি খাও
- জানালার বাইরে তাকাও, পাখির ডাক শুনো
“Break
মানে অলসতা না, Break
মানে Recharge!
”
২. “সব শিখতে হবে” সিন্ড্রোম বন্ধ করো
এটা একটা মারাত্মক ভাইরাস! নাম “FOMO”
Fear Of Missing Out
.
React
শিখতেছো? পাশ থেকে বন্ধু বললো , “Next.js
জানো না? পিছিয়ে পড়বা!” LinkedIn
খুললা “Astro is the future!”
তুমি ভাবলা – “আরে ভাই, সব শিখতেই হবে তো!”
তাতে কি হয়?
কিছুই ঠিকমতো শেখা হয় না।
মন ভরে না, মাথা জ্যাম হয়ে যায়।
Strategy:
এক সময়ে একটাকে মাস্টার করো।
ধরো, React
ধরেছো?
আগে React
ভালো করে শিখো।
Projects
বানাও, Component
বানাও, API
integrate
করো।
তারপর Next.js
বা অন্য কিছু শেখার কথা ভাববে।
“Jack of all trades
না হয়ে, Master of One
হও আগে!”
৩. সোশ্যাল মিডিয়া Detox
করো
LinkedIn
আর Twitter
এগুলোতে অন্যের success
দেখে নিজের মন খারাপ করা বালকের মতো মনোভাব আসে অনেক সময়।
কেউ লিখলো:
“২০
দিনে Google
এ জব পেলাম!”
আর তুমি ভাবছো:
“আমি তো এখনো Internship
পাই নাই!”
এই Comparison
এর জ্বালাই আসলে Burnout
এর Fuel।
Solution:
দিনে একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করো
ধরো, দুপুরে ১৫ মিনিট LinkedIn দেখবে।
তার বাইরে Login
দিবা না।
নিজের স্কিল আর নিজের জীবন নিয়ে ফোকাস করো।
Social Media Success
না দেখে, নিজের ছোট্ট অগ্রগতির জন্য নিজেকে অভিনন্দন দাও।
মনে রাখো:
“তোমার গতির সাথে তোমার দৌড় ঠিক করো, অন্যের সাথে না।”
৪. “না”
বলতে শিখো
সব কাজ একা নিতে গিয়ে বীর পুরুষ হওয়া যায়, কিন্তু তার সাথে সাথে Burnout
-এর শিকার হওয়া যায় আরো সহজে!
চলো একটা বাস্তব গল্প বলি:
তোমাকে এক বন্ধু বললো “ভাই, আমার একটা Freelance Project
আছে, help
করবি?” আরেকজন বললো
“ভাই, আমার Portfolio
বানাতে হেল্প কর!” তুমি দুই দিকেই “হ্যাঁ” বললা। নিজের কাজ তো আছেই, তার সাথে এদেরও কাজ! শেষে তুমি হচ্ছো Stress Ball
মচমচে আর টানটান!
Dialogue Template:
“ভাই, ধন্যবাদ অফারের জন্য। আপাতত আমার হাতে কিছু Project
আছে, পরে আবার কথা বলবো ইনশাআল্লাহ।”
“না” বলা মানে তুমি খারাপ না , তুমি নিজের Capacity
বুঝছো।”
৫. নিজের প্রতি সদয় হও
কাজ করতে করতে একটা জিনিস ভুলে যেও না “তুমিও মানুষ।”
ভুল হবে, কোড চলবে না, Interview Reject
হবে, এইটাই স্বাভাবিক। এইটাই জীবন।
কিন্তু সমস্যা হয় তখন, যখন নিজের সাথে খারাপ ব্যবহার করো:
“আমি পারি না!”
“আমি Loser!”
“আমি অন্যদের মতন ভালো না!”
এই Negative Self-Talk
মানেই নিজের হাতে নিজের মন খারাপের Gift Box
বানিয়ে দেওয়া।
Solution:
ভুল করলে নিজেকে বলো:
“ভুল মানে আমি শিখছি। পরের বার ঠিক করবো।“
প্রতিদিন অল্প হলেও কিছু ভালো কাজের জন্য নিজেকে ছোট্ট করে অভিনন্দন দাও।
মনে রেখো “তুমি Perfect
হতে পারবা না , কিন্তু তুমি প্রতিদিন একটু একটু করে Grow করতে পারো।”
একদম ছোট্ট করে বললে:
– রুটিন করে কাজ করো
– একটাকে মাস্টার করো, সব শিখার দৌড় থামাও
– Social Media Detox
করো
– “না” বলতে শিখো
– নিজের প্রতি সদয় হও
এইভাবে চললে Burnout
তোমাকে স্পর্শ করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ!
মোটিভেশনাল কিছু কথা: নিজেকে সময় দাও
প্রতিদিন ১%
উন্নতি মানেই বিশাল জয়!
শুনতে ছোট মনে হয়, তাই না? “১%
মাত্র? এতে কী হবে?” অনেকেই ভাবে।
কিন্তু রিয়েলিটি কি জানো?
– প্রতিদিন যদি ১%
করে Grow
করো,
– বছরের শেষে তুমি আগের চেয়ে ৩৬৫% বেশি শক্তিশালী হবে!
– মানে তুমি আজকের তোমার চেয়ে তিনগুণ বেশি দক্ষ, বেশি শান্ত, বেশি স্ট্রং হবে!
“Growth
হঠাৎ হয় না, ছোট ছোট দিনের ছোট ছোট জয়গুলোই মিলে বড় সাফল্য তৈরি করে।”
Burnout
হলে পুরো গেমটাই হারাবে!
এইটা ভেবেছো কখনো?
তুমি যদি ৬
মাস non-stop
কাজ করে, Burnout
হয়ে যাও,
– তাহলে পরের ৬ মাস তুমি বিশ্রামে কেটে দিবা!
– আর অন্যরা যারা একটু একটু করে এগোচ্ছে, তারা তোমাকে ছাড়িয়ে যাবে!
ভাই, এটা Speed Game
না, এটা Endurance Game!
Marathon
দৌড়ের মতন
– একদম ধীরে, steady
গতিতে এগিয়ে যেতে হয়।
– মাঝপথে থেমে গেলে বা ল্যাং খেয়ে পড়ে গেলে গন্তব্যে পৌঁছানো মুশকিল।
নিজেকে ভালোবাসো, নিজের যত্ন নাও
কোড শেখো, আনন্দের জন্য, নিজের স্বপ্নের জন্য। কিন্তু নিজের প্রাণের বিনিময়ে নয়।
কাজ করো, কিন্তু পরিবারের সাথে সময় কাটাও,
– বন্ধুদের সাথে হাসো,
– প্রকৃতির রঙ দেখো,
– নিজের ভেতরের শিশুটাকে বাঁচিয়ে রাখো।
মনে রাখো: “তুমি আগে মানুষ, তারপর Developer!”
শেষ কথাটা ভালো করে মনে গেঁথে রাখো:
“Slow progress is better than no progress.”
– তুমি যদি আজকে এক লাইন কোড লেখো, সেটাও উন্নতি।
– তুমি যদি আজ ১ টা নতুন জিনিস বোঝো, সেটাও উন্নতি।
– তুমি যদি আজকে মন খারাপের মাঝেও নিজের উপর বিশ্বাস রাখো, সেটাও উন্নতি।
কোডিং শিখতে যাওয়ার পথে অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে, ভাই।
কিন্তু আমরা চাই না তুমি Burnout
বা Depression
-এ চলে যাও। তাই Programming Hero
তোমার পাশে আছে, সবসময়!
আমাদের Paid Web Development Course
-এর স্টুডেন্টরা শুধু কোড শিখে না, তারা শেখে কিভাবে কাজের মাঝে ব্যালান্স তৈরি করতে হয়, কিভাবে নিজের মেন্টাল হেলথে ফোকাস রাখতে হয়, এবং কিভাবে সঠিক গাইডলাইনের মাধ্যমে ক্যারিয়ারের দিকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হয়।
কী পাবে তুমি?
পারসোনাল গাইডলাইন ও মেন্টাল সাপোর্ট, যখনই তুমি কোন সমস্যায় পড়বে, আমাদের Student Relationship Team
তোমার পাশে থাকবে।
ফোকাসড রুটিন যা তোমার পড়াশোনায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
ক্যারিয়ার প্ল্যানিং সাপোর্ট তুমি যদি কখনো কনফিউজড হয়ে যাও, তখন আমরা তোমাকে সঠিক পথ দেখাবো ।
আমরা বিশ্বাস করি, সঠিক গাইডলাইন এবং সাপোর্টের সাথে কোড শিখতে শিখতে, তুমি Burnout
বা Depressed
হতে পারবে না।
তোমার একমাত্র কাজ:
নিজেকে ভালোবাসো, শিখতে থাকো, আর আমরা তোমাকে সঠিক পথে নিয়ে যাবো!
এই টিম তোমাকে প্রফেশনাল ক্যারিয়ারে এগিয়ে নেবে, জব ইন্টারভিউ-এর জন্য প্রস্তুত করবে, এমনকি মেন্টরিং সিস্টেম এর সাহায্যও পাবে!
তোমার স্বপ্নে পৌঁছাতে কোনো কিছুই তোমাকে থামাতে পারবে না।
আমরা তোমার পাশে আছি, প্রতিটি মুহূর্তে।
তুমি একা নও, Programming Hero
তোমার সাথে!
ওয়েব ডেভেলপারদের Burnout
কেন বেশি হয়?
ওয়েব ডেভেলপারদের Burnout বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো টানা স্ক্রিনের সামনে বসে কোডিং করা, ক্লায়েন্টের প্রেসার, সময়মতো প্রজেক্ট ডেলিভারি, এবং একঘেয়ে রুটিন। এছাড়া সঠিক সময় বিশ্রাম না নেওয়া ও নিজেকে সময় না দেওয়াও Burnout বাড়িয়ে তোলে।
একজন ডেভেলপার কীভাবে নিজের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারে?
নিয়মিত বিরতি নেওয়া, সময়মতো বিশ্রাম, কাজের বাইরে অন্য কিছু করা (যেমন শরীরচর্চা বা শখের চর্চা), এবং কাজের সীমা নির্ধারণ করাই Burnout থেকে রক্ষা পাওয়ার কার্যকর উপায়। নিজের কাজকে ভালোবাসার পাশাপাশি নিজের যত্ন নেওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
Arif Almas
May 2, 2025
✕